গাংনী প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীর হিন্দা গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সালিস চলাকালীন সময়ে ক্ষোভ ও অভিমানে বিষপান করে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছেন বুলবুলি খাতুন (২৮) নামের এক নারী। দীর্ঘদিন ঘর সংসার করার পর বিয়ের কথা অস্বীকার করায় সমাজপতিদের সামনেই বিষপান করেন ওই নারী। তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এ উপজেলার হিন্দা গ্রামের প্রবাস ফেরত সুমনের স্ত্রী ও হোগলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে।
বুলবুলি খাতুনের মা হেলেনা খাতুন জানান, সৌদি থাকালীন সময়ে সুমনের সাথে বছর তিনেক আগে মোবাইল ফোনে বুলবুলির বিয়ে হয়। এর মাস খানেক পর সুমন দেশে ফিরে এলে বাওটের এক কাজীর বাড়িতে আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসে দুজন। স্বাভাবিকভাবে দুজন ঘর সংসার করতে থাকে। বিয়ের দুমাস পর সুমন আবারো সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
সুমন বিদেশ যাবার পর তার বাড়ির লোকজন বুলবুলিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং উভয় পরিবারের মধ্যে শুরু হয় আত্মীয়তা। সম্প্রতি সুমন দেশে ফিরে আসে এবং বুলবুলিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সুমনের বাড়িতে সালিসে বসেন। এ সময় সুমন ও বুলবুলির মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক নেই এবং কোনো কাগজপত্র নেই বলে দাবি করে সুমন। বুলবুলিও কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
সালিসে স্থানীয় লোকজন নানা মন্তব্য করলে রাগে ক্ষোভ ও অভিমানে বুলবুলি তার স্বামী সুমনের ঘরে প্রবেশ করে মরিচ ক্ষেতে দেয়া বিষপান করেন। উপস্থিত লোকজন বুলবুলিকে তড়িঘড়ি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর বিপদমুক্ত হন বুলবুলি। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সালিসে উপস্থিত ছিলেন তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি মেম্বর জেকের আলী, খোকন ও গ্রামের সমাজপতিগণ।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ঘটনাটি জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।