গতানুগতিক নয় : আগ বাড়িয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে
চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্বেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গত সভার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বিগত সভার বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পাঠ করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রেজওয়ানা নাহিদ। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আমাদেরকে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে, সাহসিকতার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হবে। দৃশ্যমান হয়, এ রকম কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক তাগিদ দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সেবার মান বৃদ্ধিতে আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেককে সমান নজরে দেখে সেবা দিতে হবে। গতানুগতিক নয়, আগ বাড়িয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে হবে। কোনো ভয়ভীতি করা যাবে, নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে। কাজটিকে সঠিক এবং নির্ভূলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ গেলে বেতন ভালো হয়। সরকার এ বিষয়ে প্রচুর খরচ করছে। আমাদের প্রশিক্ষণের সচেতনতা বাড়াতে হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক হিসেবে এই জেলার দুটি চাহিদা লিখিতভাবে তুলে ধরেছিলাম। এরমধ্যে একটি মাথাভাঙ্গা নদীর উৎসমুখ খুলে দেয়া এবং আরেকটি ছিলো চুয়াডাঙ্গার জন্য একটি বাইপাস সড়কের দাবি। এছাড়াও, প্রায় বিভিন্ন জেলা থেকে একই প্রকার সমস্যা তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে প্রায় প্রত্যেক জেলা থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, হাসপাতালের জন্য বেডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে লোকবল নিয়োগ, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ থেমে থাকাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমীন, জেলা শিক্ষা অফিসার দিল আরা চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দীকা সোহেলি রশিদ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাকসুরা জান্নাত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভীসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.