স্টাফ রিপোর্টার: অসহায় মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গায় সাপ্তাহিক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার গণশুনানিতে অসহায় মানুষের কথা শোনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেন। এতে অসহায় ও দরিদ্র মানুষেরা সেবা পেয়ে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ১৬ জন অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন এবং সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করেন। এর মধ্যে রয়েছে লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সাহয্যের আবেদন, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহয্যের আবেদন, জেলা ইজতেমায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আবেদন, সেলাই মেশিন ও আর্থিক সাহয্যের আবেদন, চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে মাছ চাষ প্রসঙ্গে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা ডাকঘরের কর্মচারী কর্তৃক লাঞ্ছনা ও নির্যাতন এবং ঘুষ চাওয়ার বিচার চাই এ ধরণের বিভিন্ন আবেদন মনোযোগ সহকারে শুনে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করেন।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের বর্ষা ও মমতাজ বেগম, হাতিকাটার আলফা বেগম, কেদারগঞ্জ সিএন্ডবিপাড়ার রহিমা খাতুন, তালতলার সবেদ আলী, তাবলীগ জামাতের সদর উদ্দীন, জোয়ার্দ্দারপাড়ার বোরহান উদ্দীন, বেতার শিল্পী আতিয়ার রহমান, আলুকদিয়ার মুক্তিযোদ্ধা মায়দুল ওহাব, সাতগাড়ীর বাবর আলী, সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র আল ইমরান, আলমডাঙ্গার আব্দুল গণি, কয়রাডাঙ্গার মো. আলমগীর, কালিদাসপুরের শুভ এবং দামুড়হুদার ছুটিপুরের মাহফুজা খাতুন ও জয়রামপুরের শিলা খাতুন পৃথকভাবে আবেদন করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতি বুধবার জেলার অসহায় মানুষের কথা শুনতে ও সমাধান দিতে প্রতি বুধবার জেলা প্রশাসক গণশুনানির ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি জনসাধারণের মাঝে ব্যাপকভাবে উজ্জ্বল হয়েছে। জনগণ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে ও সমস্যার কথা মনখুলে বলতে পারছে এবং উপকৃত হচ্ছে। জনবান্ধব সরকার পরিচালনা করতে এধরণের গণশুনানী চালু রাখা খুবই জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার ৩০ শিক্ষার্থীর সাফল্য
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ