গণধোলাই শেষে তিনজনকে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী
দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছির ঠাকুরপুর হতে ভুয়া গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কালো রংয়ের একটি হিরো হাঙ্ক মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃতরা দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি আনন্দবাজার এলাকার নহুনবীর ছেলে আলমগীর হোসেন(৩৮), কুড়ুলগাছি পশ্চিম পাড়ার মনিরুজ্জামান লালুর ছেলে ফাহিম মুনতাসীর শাকিল (২৮) ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের আবু তালেবের ছেলে ফাহিম হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করে এবং কুড়ুলগাছি পশ্চিম পাড়ার জামালের ছেলে আব্দুল (২৩) জনতার টের পেয়ে মটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এদিকে ফাহিম মুনতাসীর শাকিল গত ১৮ আগস্ট দামুড়হুদার চন্দ্রবাস গ্রামের শেষ পাড়ার আব্দুল কাদের (সাইকেল মিন্ত্রি) তার বাড়িতে গিয়ে বলে আপনার মেয়ের বিয়ে দিবেন শুনলাম আমিতো বিজিবিতে চাকুরী করি। আপনার মেয়েকে আমি দেখেছি আমি বিয়ে করতে চাই। তখন তার সঙ্গপাঙ্গরা বলেন আজ রাতেই ছেলে বিয়ে করবে তবে সে এ মাসের বেতন তুলেনি তাই আপনারা ১৫ হাজার টাকা ধারদেন আমরা বাজার করে নিয়ে আসি। মেয়ের বাবা সরল মনে ১৫ হাজার নগদ টাকা দেয় টাকা নিয়ে তারা বাজার করার নাম করে চলে যায় আর আসেনি। মেয়ের বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে কুড়–লগাছির পশ্চিমপাড়ার মনিরুজামান লালুর ছেলে শাকিল। এ ভাবে অনেক জায়গায় প্রতারণা করেছে বলে শুনা যাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুর গ্রামের বাজার পাড়ার আফছারের ছেলে সাদিকুল বাদি হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন। এ সময় ভুক্তভোগী সাদিকুল বলেন, আমি গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে ভাত খাওয়ার সময় হঠাৎ আমার বাড়িতে চার জন হাজির হয়। এ সময় তারা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাকে জোর করে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে নিয়ে যাবার সময় বলে তুই গাঁজার ব্যবসা করিস আমাদের ৫০ হাজার টাকা দে তাহলে তোর ছেড়ে দিবো আমরা চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ। এ সময় সাদিকুল ঠাকুরপুর বাজারের ওপর দিয়ে আল হেলাল মাদরাসার দিকে ওসমানপুর গ্রামের নিরজন এলাকার দিকে নেবার সময় সাদিকের সন্দেহ হলে তখন সে চিৎকার করে বলে আমাকে ভুয়া পুলিশে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে মেরে ফেলবে। তখন ঠাকুরপুর বাজারের লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের ধরে ফেলে এবং সে সময় স্থানীয় লোকজন তাদের চিনে ফেলে এবং গণধোলাই দিয়ে দর্শনা থানা পুলিশের খবর দেয় দর্শনা থানার এস আই (নি.) নীতিশ কুমার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে ওই রাতের ভোরের দিকে থানায় নিয়ে আসে। গতকাল রোববার দুপুরে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুতফুল কবীর বলেন, আমরা খবর পেয়ে ৩ ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করেছি তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা বাজী, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে বলেও জানিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি এদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞিসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।