আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কিশোর সলোক হত্যার অন্যতম আসামি কালু ম-লকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, চাঁদাবাজি ও বোমা হামলার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে থানায়। ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সলোককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। অপহরণের ৬দিন পর আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কিশোর সলোকের লাশ সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া নবগঙ্গা নদীর শ্মশান ঘাট থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর গ্রামের মাঠপাড়ার দরিদ্র কৃষক শামসুল ইসলামের কিশোর ছেলে সলোক (১৭) ইসলাম। গত ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অপহরণ করা হয়। পরদিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রবি সিম নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি সলোকের পিতা শামসুল ইসলামের নিকট মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় শামসুল ইসলাম থানায় গিয়ে জিডি করেন। জিডি করে বাড়ি যেতে না যেতেই সন্ধ্যায় পৃথক আরেকটি রবি নম্বরের সিম থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি রিং করে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে মুক্তিপণ ১০ লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখে পূননির্ধারণ করে। এ ঘটনার পর ৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া নবগঙ্গা নদী থেকে সলোকের লাশ উদ্ধার করে।
হত্যার পর ৯ অক্টোবর পুলিশ সলোক হত্যা মামলার আসামি কাবিলনগর গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে লাল্টুকে (৫৫) আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত পরশু ১০ অক্টোবর তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় সে নিজেকে হত্যাকান্ডে জড়িত করে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সলোকের বাপের সাথে তার সৎ বাপ আশির উদ্দীন ও সৎভাই শরিফুলের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। আর এ বিরোধের বলি হতে হল নিরীহ কিশোর সলোকের। আদালতে জবানবন্দি দিতে গিয়ে লাল্টু অকপটে স্বীকার করেছে যে, গত কোরবানী ঈদের ৪/৫ দিন পূর্বের ঘটনা। এ হত্যা মামলার আসামি ফারুকসহ প্রায় সকলকেই পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে। শফি, আশু, শরিফুল ও কালু মন্ডলসহ কয়েকজন আসামি ছিল পলাতক। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিওরবিলা ফাঁড়ি পুলিশ ঝিনাইদহ শহর থেকে কালু মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে। সে কাবিলনগর গ্রামের খেদের আলীর ছেলে। তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ