দামুড়হুদার পাটাচোরায় গোলাম রহমান স্মৃতি পাঠাগারের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক
দামুড়হুদা ব্যুরো: রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা, যদি তেমন বই হয়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত লেখক সৈয়দ মজতুবা আলী তার সেরা রম্য রচনায় লেখা কথাটি ইতিহাসের পাতায় আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। বই মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের ভিতরে আলো জ্বালাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে, স্মরণ শক্তির বৃদ্ধি ঘটে, লেখনী শক্তি বৃদ্ধি, ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি। বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ স¤পদ। যার সাথে পার্থিব কোনো স¤পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তো পার্থিব সব স¤পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না। গত মঙ্গলবার দামুড়হুদার পাটাচোরায় গোলাম রহমান স্মৃতি পাঠাগারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রূপকল্প স্মার্ট ভিলেজ ২০৪১ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাটাচোরা গ্রামকে দৃষ্টিনন্দন শহরে পরিণত করার পাশাপাশি বর্তমান যুবসমাজকে বই পড়ায় আগ্রহী করতে পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়। এছাড়া মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর মোহনায় গড়ে তোলা মিনি পার্কটিও পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিউদ্দিন, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। যতো বেশি বই পড়া যাবে ততো বেশি জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। বই-ই পারে একজন মানুষকে যথার্থ জ্ঞানী বানাতে। আর জ্ঞান সবসময় একজন মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বই আমাদের প্রতিদিনের বাস্তবতা, সমাজ সংসারের নানা দুঃখ কষ্ট থেকে একটু হলেও রেহাই দেয়। ফলে আমাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। যতোবেশি বই পড়বেন ততোবেশি কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত বই পড়ার ফলে আমাদের ভাবনাকে প্রকাশ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সুন্দর কথা বলার মতো বেড়ে যায় লেখনী দক্ষতাও। তিনি সকলকে নিয়মিত বই পড়ার আহবান জানিয়ে আরও বলেন, রোজ নিয়ম করে বই পড়লে বেড়ে যায় একাগ্রতা শক্তি। বই পড়ে মানুষ মানবিক গুনাবলির অধিকারী হয়ে ওঠে। রাত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার এডিকশন থেকে বাঁচতে বই পড়া একটি অন্যতম পন্থাও হতে পারে।