আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বন্ধুর কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলার আসামি নাজমুলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার নাজমুল আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। নাজমুল বন্ধুর বাড়িতে অবাধে যাতায়াতের সুযোগে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
জানাগেছে, উপজেলার বাড়াদি গ্রামের মীর আব্দুল লতিফ ওরফে বাকীর মুন্সিগঞ্জ বাজারে একটি হোটেল রয়েছে। হোটেল ব্যবসার কারণে তিনি প্রতিনিয়ত ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। তার বড় ছেলে পারভেজের বন্ধু একই গ্রামের ইব্রাহিম ম-লের ছেলে নাজমুল হক (২৯) বন্ধুর বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসা করতেন। ২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সকালে নাজমুল বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বন্ধুর কিশোরী বোন ছাড়া কেউ নেই। সুযোগ পেয়ে জোরপূর্বক তিনি কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এর কিছুদিন পর ওই কিশোরী তার পরিবারকে জানায় সে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীর পরিবার তার কথা শুনে নাজমুলের সাথে কথা বলতে গেলে সে হুমকি ধামকি দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে আব্দুল লতিফ বাকী বাদী হয়ে নাজমুলকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি হয়ে নাজমুল দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর গতকাল আত্মসমর্পণ করলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।