আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় কাজ দেয়ার কথা বলে দু’সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার নারী থানায় মামলা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী বাজারের একটি দোতলা বিল্ডিংয়ে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার আসামিরা হলো উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সন্টুর ছেলে রিপন ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ^াসের ছেলে হাবু (৪২), নান্দবার গ্রামের মান্নানের ছেলে হামিদুল (৩৪) ও আসমানখালী গ্রামের মনসের আলীর ছেলে মিজানুর কলুসহ আরও একজন।
জানা গেছে, স্বামীর সাথে ওই নারীর বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করেন। অভাব অনটনের কারণে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার পূর্ব পরিচিত আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুকে একটি কাজ ঠিক করে দেয়ার জন্য বলেন তিনি। কলু ওই নারীকে আসমানখালী বাজারে আসতে বলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী আসমানখালী বাজারে এলে তাকে স্থানীয় রশিদের দোতলা বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে নিয়ে ৮জন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে বেলা ৪টার দিকে ওই কক্ষে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। পরে ওই নারী আসমানখালী বাজারের রশিদের দোতলা থেকে নেমে বাড়িতে চলে যান। বুধবার সন্ধ্যায় ওই নারী আলমডাঙ্গা থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দেন। রাতেই আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন শেখ মাহবুবুর রহমান অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মুলামকে গ্রেফতার করেন। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষিতা ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ