চুয়াডাঙ্গায় জেলা ব্রান্ডিং কার্যক্রমের সক্ষমতা উন্নয়নে উদ্যোগতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডিসি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সকল দিক দিয়েই সম্ভাবনাময়ী জেলা। কৃষিপ্রধান হলেও ছোট বড় উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দেশ বিদেশে চুয়াডাঙ্গাকে উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। এ জন্য দরকার সম্মিলিতভাবে বাস্তবমুখি পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ গ্রহণে আত্মবিশ^াসী করার জন্যই জেলা ব্রান্ডিং কার্যক্রমের সক্ষমতা উন্নয়নে জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উদ্যোগতাদের দক্ষতা উন্নয়নে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা। অংশগ্রহণকারীরা দুদিন ব্যাপী এ কর্মশালার মাধ্যমে অনেকটাই দক্ষতা অর্জন করেছে। অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজের এবং নিজের জেলার উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মশালা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মত অনেক কিছু রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ব্রান্ড ব্লাক বেঙ্গলগট। কাল ছাগল। এ ছাগলের মাংস বিশে^র সেরা। ঘরে ঘরে এবং ছোট বড় খামার করে দেশি প্রজাতির এ ছাগল পালনের মাধ্যমে যেমন নিজের স্বনির্ভরতা অর্জন সম্ভব, তেমনই এ মাংস দেশের অন্যান্য জেলাসহ বিশে^ রপ্তানি করার মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার পরিচিতিও আনা সহজ। ইকোপার্ক রয়েছে। কেরুজ চিনিকল রয়েছে। এছাড়াও সবুজে ভরা শ্যামল সুন্দর চুয়াডাঙ্গাকে কীভাবে উপস্থাপন করলে পর্যটক আকর্ষণ করা সম্ভব এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই দক্ষতা বৃদ্ধিরই চেষ্টা চলেছে। ইকমার্সের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় উপার্জন সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে চুয়াডাঙ্গাকে এগিয়ে নিতে হবে প্রত্যাশিত অবস্থানে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইটিসি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীন, প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, উদ্যোগতা সামিনা হক। চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এটুআই’র সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতপরশু বুধবার সকালে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। গতকাল দুপুরে সমাপনী হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এটুআই’র প্রশিক্ষক মো. ওমর ফারুক, আরিফুল ইসলাম। কর্মশালায় ৪০ জন উদোক্তা অংশ নেন।