জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সাথে উপজেলা কৃষকজোটের যৌথ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি সেবায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কৃষকের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (চাষাবাদ) এ শুনানীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান। উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে বলেন, কৃষির উন্নয়নে কৃষককে সহযোগিতা করতে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে। যদি কোনো সারের ডিলার দোকানে মূল্য তালিকা না টাঙায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সারের কোনো সঙ্কট নেই। সঙ্কট হলে বলবেন আমরা সার বাড়ি পৌঁছে দেবো। সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, বাংলাদেশে অনেক সংগঠন আছে; কিন্তু কৃষকদের কোনো সংগঠন দেখিনি। চুয়াডাঙ্গাতে এসে দেখলাম এখানে কৃষকদের সংগঠন রয়েছে। যা কৃষকের বিভন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করে। এ উপজেলাতে যতোদিন কর্মরত থাকবো ততোদিন কৃষক জোটকে সহযোগিতা করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক জোটের সহ-সভাপতি মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। শুনানীতে উপজেলার কেডিকে, উথলী ও মনোহরপুর ইউনিয়ন কৃষক জোটের ২৯ নেতা অংশগ্রহণ করেন।
রিসোর প্রোগ্রাম অফিসার আদিল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুনানীতে সার সঙ্কট, মৃত্তিকা পরীক্ষাগার স্থাপন, সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ফসলের ক্ষেতের পানি নদীতে নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ মাঠে বজ্র নিরোধ শেল্টার স্থাপনের দাবি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও শিয়ালমারী হাটে কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও কাঁচা তরিতরকারি সরাসরি বাইরে থেকে আসা ফঁড়িয়াদের নিকট বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দি এশিয়া ফাউ-েশনের সহযোগিতায় রিসো-চুয়াডাঙ্গা এ শুনানীর আয়োজন করে।