মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলা পিরোজপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে কুপিয়ে জখম করেছে মহিলাসহ দুজনকে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তাহাজ্জেল ও তার স্ত্রী শহীদা খাতুন। শহীদা খাতুনের মাথায় দশের অধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে তাহজ্জেলের ছেলে লালু মিয়া বাদী হয়ে মহিউদ্দীনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সেলিম এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করেছেন।
আসামিগণের লিখিত এজাহারে বলা হয়েছে, বসতবাড়ির সীমানার বেড়া ঘেরাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সহিদা খাতুনের (৬০) কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লাঠি, লোহার রড, রামদা, ধারালো হেঁসো নিয়ে বাড়ির ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে। শহিদা খাতুনকে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে চুল চেপে ধরে টানা হেঁচড়াসহ বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় সহিদা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা রামদা দিয়ে মাথায় সজোরে কোপ মারে। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যান। পরে সেলিম হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো হেঁসো দিয়ে শহীদা খাতুনের গলা লক্ষ্য করে কোপ দিলে তিনিও গুরুতর জখম হন। এ সময় শাহিদা খাতুনের স্বামী তাহাজ্জেল ছুটে গিয়ে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে তাহাজ্জেল মাটিতে পড়ে গেলে জেসমিন খাতুন বাম পায়ের হাটুর নিচে ধারালো হেঁসো দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় সাহিদার গলায় একটি সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে সহিদা খাতুন ও তাহাজ্জেল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় একটি মামলা করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ