মুজিবনগর প্রতিনিধি: জোরপূর্বক জমি দখল করার নিমিত্তে নবনির্মিত দোকান পাট ভাঙচুর চালিয়েছেন মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুরের মৃত রেজাউল হকের ছেলে সজিবুল হক। রেজাউল হক ও তার অনুগত ৮-১০ জন হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর করেছে মর্মে মেহেরপুর আদালতে একটি মামলা করেছেন প্রকৃত জমি ও দোকানের মালিক আনোয়ার হোসেন। গতকাল শুক্রবার বল্লভপুরে তার দোকানের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন জমি দখল ও ভাঙচুর ও মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের ইমান আলী ও তার ওয়ারিশগণের কাছ থেকে বল্লভপুর মৌজার গত ১৫ আগস্ট ২০০৬ সালে ৬৪৫৩নং দলিল মূলে এবং ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে ২০৫০নং এবং ১৭ জুলাই ২০২০ তারিখের ৭২৬১নং দলিল মূলে ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছেন। জমিতে ইটের পাকা পাঁচিল বেষ্টনী সেই সাথে সেগুন, মেহগনিসহ বিভিন্ন মূল্যবান গাছ ছিল। এদিকে সুচতুর সজিবুল হক ওই জমি তার নিজের দাবি করে গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে প্রকাশ্য দিবালোকে ৮-১০ জন সশস্র লোকজন নিয়ে হামলা করে পাঁচিল ও সীমানা বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১০টি মেহগনি এবং ২০টি সেগুন গাছ লুট করে। যার মূল্য আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকা। বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে সজিবুলসহ অন্যান্যরা স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে মীমাংসার প্রস্তাব দিলেও সজিবুল হক তা অগ্রাহ্য করে। বাধ্য হয়ে তিনি মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে ৬জন নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেন। যার নং- সিআর ২৭০/২০২২ইং।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, সজিবুল একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির মানুষ। সে কুষ্টিয়ায় বসবাস করে। এলাকায় মাঝে মধ্যে এসে স্থানীয় গু-া প্রকৃতির লোকজনকে টাকা পয়সা দিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করিয়ে থাকে। তাছাড়া দোকান ভাঙচুর ও গাছ লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সজিবুল। বর্তমানে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন বলেও দাবি করেছেন আনোয়ার হোসেন। বিষয়টি সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, জিন্নাত আলী, আবুল কালাম আজাদ, মারুফ হাসান, আনসারুল ইসলাম কাটুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি।