মাথাভাঙ্গা নদীকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব
আলমডাঙ্গার সৃজনী মডেল হাইস্কুলের আলোচনাসভায় অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী
স্টাফ রিপোর্টার: ‘মাথাভাঙ্গা নদী আমাদের প্রাণের সাথে মিশে আছে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য নদী সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অথচ আমরা বিভিন্নভাবে নদী দূষণ করছি। এ কারণেই মাথাভাঙ্গা নদীর মরমর অবস্থা। এক সময় মাথাভাঙ্গায় প্রবল স্রোত ছিল। সেই স্রোত ইদানীং একেবারেই থমকে গেছে। মাথাভাঙ্গা নদীকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই আমরা যে যেভাবে পারি মাথাভাঙ্গাকে রক্ষার চেষ্টা করবো। কেউ নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলবো না।’ কথাগুলো বলেছেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আলমডাঙ্গার সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে আলোচনাসভায় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ কর্তৃক আয়োজিত মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন বিষয়ক আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবুল কালাম আজাদ। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা নদী চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্য বহন করে। এই নদীর কারণেই জেলায় কোনো বন্যা হয় না। নদীর পাড়ের মাঠে ভালো ফসল জন্মে। এ নদী থেকে জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ এক শ্রেণির স্বার্থপর মানুষ নদীতে কোমর বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে। এতে নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে ফেলছে স্রোত।’ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুল হক বুলবুল। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সহযোগিতায় ছিলেন সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ।