নাটুদাহের খলিসাগাড়ির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জসিমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো শিক্ষার্থীরা

রতন বিশ্বাস: মানুষ জানে শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকাই বেঁচে থাকা নয়, অসহায় মানুষের চোখের পানি মুছে দিয়ে বেঁচে থাকার নামই জীবন। এমনই একটি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বিকেলের দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের খলিশাগাড়ির দাউদের ছেলে অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জসিমের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইনসাফ ওয়েলফেয়ার সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা তাদের সঞ্চয়ের টাকায় দিয়ে বিভিন্ন উপকরণ কিনে দিলো। তাদের কাছে থেকে পাওয়া পণ্যগুলো পেয়ে মুখে হাসি ফুঁটেছে ৩ সন্তানের জনকের। সংগঠনের সদস্য শিক্ষার্থী জগন্নাথপুর গ্রামের তাসফিয়া ইসলাম ঊষা জানান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জসিম উদ্দিন স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তার। তিনি খলিশাগাড়ি গ্রামে ও গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশি টাকা না থাকায় অল্পকিছু ভাজা তৈরী করে বিক্রি করে জীবিকা নির্ভর করেন। তার স্ত্রী ভাজা তৈরী করে দেন আর তিনি বিক্রি করেন। তবে তিনি ৯০ শতাংশ চোখে দেখতে পান না। মানবসেবার লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া আমাদের সংগঠন বিষয়টি জানতে পারে। পরে শনিবার তার বাড়িতে গিয়ে ভাজা বিক্রি করার জন্য তাকে বিভিন্ন উপকরণ কিনে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপকরণ পেয়ে জসিম উদ্দিন তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ভাজা তৈরী করে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করার চেষ্টা করবো। যারা আমাকে ভাজা বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন পণ্য কিনে দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন তাসফিয়া ইসলাম ঊষা, জিনিয়া, মুজাহিদ, দেলোয়ার, সিফাত, সাকিব, শ্রাবনী খাতুন, ফারহানা আকতার ববি, হাসিবুল প্রমুখ।

জানা গেছে, এই সংগঠনের সদস্যরা তারা তাদের নিজেদের টাকা উত্তোলন করে অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়। উল্লেখ্য, গত ২০ মে তারিখে শিবনগরের এক বিধবা নারীকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সেলাইমেশিন প্রদান করে তারা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More