দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার মদনায় স্বল্পমূল্যে ফিস ফিড তৈরিতে উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে মদনা গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র অর্থায়নে ওয়েভ ফাউন্ডেশন সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্য খাতের আওতায় মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাজিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আরমান হোসাইন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ইউনিট ম্যানেজার মোছা. শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. সুমন আলী। অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষ ও ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন। একজন সফল খামারি/উদ্যোক্তা তার সফলতা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা উপস্থিত সকলের সাথে বিনিময় করেন। তিনি আরও বলেন যে, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করতে হলে বাইরে থেকে সম্পূরক খাবার প্রয়োগ করতে হয়। ফলে মাছ চাষের খরচ অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং প্রায় ৭০% টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র মাছের খাবার ক্রয় করার জন্য। তারই ফলশ্রুতিতে চাষিদের মাছ চাষ করে যে পরিমাণ লাভ হওয়ার কথা সে পরিমাণ লাভ হচ্ছে না। পাশাপাশি মাছের খাবারের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই বর্তমানে কিছু সচেতন মাছ চাষি বাজার থেকে মাছের খাবার না কিনে নিজেরাই বাড়িতে তৈরি করছে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রদানকৃত ফিড মেশিনের সাহায্যে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সংমিশ্রনে বাড়িতেই পিলেট জাতীয় মাছের খাবার তৈরি করা যায়। এতে করে একদিকে যেমন খাবার ক্রয় বাবদ ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে তেমনিভাবে উৎপাদিত খাবারের গুণগত মান/এফসিআর ভালো হওয়ায় মাছ চাষ করে বেশ লাভজনক হওয়া সম্ভব। মাঠ দিবসের মাধ্যমে চাষিদেরকে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে স্বল্পমূলে মাছের খাবার তৈরি প্রক্রিয়া হাতে কলমে দেখানো হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.