জুড়ানপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে ভুলবশত সিরাপ ভেবে ঘাসমারা বিষ খেয়ে গৃহবধূ ৩ সন্তানের জননী সহিদা খাতুনের (৫১) মৃত্যু হয়েছে। গত পরশু বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল রাত ৮টায় বিষ্ণুপুর ফুটবল মাঠে জানাজা শেষে বিষ্ণুপুর দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে মৃত শহিদা খাতুনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, বিষ্ণুপুর দক্ষিণ পাড়ার আলম হোসেনের স্ত্রী সহিদা খাতুন গত ২৬ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে সিরাপ ভেবে স্বামীর নিয়ে আসা ঘাস মারা বিষপান করেন। তারপর নিজেই চিৎকার করেন ‘আমাকে বাঁচাও আমি ভুল করে বিষ খেয়েছি। আমাকে বাঁচাও আমি আর বাঁচবো না।’ তখন পরিবারের লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত সহিদা খাতুনের পাকস্থলী ওয়াশ করেন। রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে রেফার করেন। এক সপ্তাহ যাবৎ চিকিৎসার পর গত পরশু বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় গৃহবধূ সহিদা খাতুন মারা যান।
মৃত সহিদা খাতুনের স্বামী আলম হোসেন জানান, আমি জমিতে ঘাস মারার জন্য দোকান থেকে সিরাপের বোতলে ভরে ১শ গ্রাম ঘাসমারা বিষ নিয়ে এসে খাটের নিচে রেখে কাচারীতে যায়। এমন সময় সিরাপ ভেবে সেই বোতল থেকে মুটকি খুলে এক ঢোক বিষপান করে সে। স্বাদ ভিন্ন দেখে চিৎকার করতে থাকে আমি বিষ খেয়েছি আমাকে বাঁচাও, আমি আর বাঁচবো না আমাকে বাঁচাও। তখন আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর সেখানে মারা যায়।
সহিদা খাতুন মারা যাবার সময় স্বামী, পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আনন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দামুড়হুদা মডেল থানায় প্রেরণ করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.