স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা উলামা পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে দর্শনার আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের সহকারী নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের অর্থ সম্পাদক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ রুহী। অধিবেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সহকারী নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সহকারী নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুস্তাফা কামাল কাসেমী। কমিটি গঠন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্বরত চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী। তিনি নির্বাচনের বিধিনিষেধ ও শর্ত শরায়েত সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও উপস্থিত সকল উলামাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ফিতনা ফাসাদের যুগে উলামাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে, আর সুন্দর শৃঙ্খলার সাথে কাজ করতে হলে যোগ্য উলামাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত করতে হবে। এরপর তিনি সাড়ে ১১টার দিকে স্বচ্ছ ব্যালট পেপার’র মাধ্যমে ৬ পদে (সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক) ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী ফলাফল ঘোষণা করেন। কমিটি গঠন নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ হলেন, সভাপতি পদে মাওলানা আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাফর ইকবাল, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মুহতারাম কারী জুবাইদুর রহমান ও দপ্তর সম্পাদক মুফতি ওমর ফারুক-কোটালী। নির্বাচন পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের দায়িত্বশীলগণ, তারা হলেন-সভাপতি মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুস্তাফা কামাল কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ রুহী ও দপ্তর সম্পাদক মুফতি শোয়াইব আহমাদ কাসেমী। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর অনুষ্ঠানের বিশেষ মেহমান মুফতি আব্দুর রাজ্জাক উলামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন এবং কমিটি, মাদরাসা ও ফিলিস্তিনিদের জন্যে বিশেষ দুয়া পরিচালনা করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.