কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত কুতুবপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ইনজামুল হকের জানাজায় সর্বস্তরের অসংখ্য মুসল্লিদের ঢল নামে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানে জানাজা শেষে মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজির আহম্মেদ, হেয়ার প্রসেসিং সভাপতি শহিদ বিশ্বাস, সাবেক মেম্বার হাজি লিয়াকত আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহিদ বিশ্বাস, কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান, আব্দুস সালাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর মোহাম্মদ ভগু, সাজিবর রহমান, ঢাকা ক্ষুদ্র চুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আতিয়ার তাগিদার, চুল ব্যবসায়ী আয়ুব মোল্লা, শওকত মোল্লা, মিদ্দার আলী, আলহাজ্ব হাফেজ মাও. ওমর ফারুক, কুত্বুপুর হাই স্কুলের সকল প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকবৃন্দ, সকল শিক্ষার্থীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুসল্লিরা। উল্লেখ্য, সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার ৫ দিন পরে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ট্রেনে চড়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা থেকে বাইরে ঝুঁকে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিডিও নিজের স্মার্ট ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলো সে। সেই সময় রেল লাইনের সিগন্যালের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদীর কাছে এ দুর্ঘনাটি ঘটে। নিহত ইনজামুল হক (১৭) দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের চুল ব্যবসায়ী ও হেয়ার প্রসেসিং সমবায় সমিতির সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের ছেলে।