জীবননগর ব্যুরো: সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিভিন্ন নামে দোকান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে। কখনো এসিল্যান্ড অফিস, কখনো মেয়রের প্রতিনিধি, কখনো সওজের কর্মকর্তা, আবার কখনো পুলিশ পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত একটি চক্র চাঁদা দাবি করছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে অজ্ঞাত চাঁদাবাজদের ফোনে তুলকালাম সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড জেআর পরিবহন কাউন্টার মালিক জাকির হোসেন যাত্রীদের বসার জন্য খুঁটি গেড়ে ছাউনি তৈরি করছিলো। দুপুরে তার মোবাইলফোনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘর করার জন্য ২ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দেবার জন্য একটি বিকাশ নম্বর দেয়া হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে নিজের টাকা চাওয়ার বিষয়টি গোপন করে পুলিশ টাকার বিনিময়ে ঘর তৈরি করতে সহযোগিতা করছে এমন অভিযোগ দেয় খোদ ওসির কাছে। এই ঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে পারে একটি চক্র বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করছে। আর টাকা না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে দোকান মালিকদের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে।
জেআর পরিবহন কাউন্টারের জাকির হোসেন বলেন, দুপুরে ০১৯৩০-৮২১২১৮ নম্বর থেকে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘর তৈরি করার জন্য দুই হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে। পরে সে ০১৫১৬-৩৭৪৮৪৫ নম্বর দেয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ফোন কেটে দেয়। তারপর জানতে পারি চাঁদা দাবি করা মোবাইলফোন থেকে ওসিকে ফোন করে জানিয়েছে পুলিশ নাকি ৫ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ঘর তৈরি করতে সহযোগিতা করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে অজ্ঞাত ব্যক্তি একই নম্বর দিয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ওই নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, বাজারে উচ্ছেদ হওয়া দোকান মালিকদের কাছে বিভিন্ন দফতরের পরিচয় দিয়ে একটি চক্র টাকা দাবি করছে। বিষয়টি জানার পর তুলিশ পাঠিয়ে দেখা যায় ঘটনাটি সত্য নয়। একটি চক্র এই ঘটনাটি ঘটাচ্ছে। চাঁদা দাবি করা মোবাইল নম্বরটির অনুসন্ধান চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার জন্য আজ বাজারে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।