স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর পৌর শহরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আড়াই একর জমি দখল মুক্ত করেছে সওজ। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন বুধবারে শতাধিক এবং গতকাল বৃহস্পতিবার আরও শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে দত্তনগর সড়ক, কালীগঞ্জ সড়ক এবং চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে প্রায় দু’শতাধিক অবৈধ স্থাপনা বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। সড়ক ও জনপথের যায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর কাটাতারের বেড়া দিয়ে দখলমুক্ত যায়গা নিজেদের তত্বাবধানে নিয়েছে সওজ। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়ের নেতৃত্বে উদ্ধার কাজে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও জীবননগর থানা পুলিশের ২২ জন সদস্য এবং জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ পল্লী বিদ্যুতের সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানান, জীবননগর পৌর শহরে সড়ক ও জনপথের জায়গার ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দু’শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দখলমুক্ত জমি কাটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেউ যদি সড়ক ও জনপথের জমির ওপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে সচেতন মহল জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে চ্যাংখালী সড়কের দু ধারের অবৈধ স্থাপনাগুলোও ভেঙে ফেলার জন্য জেলা পরিষদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত, দত্তনগর সড়কের শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত, কালীগঞ্জ সড়কের তেল পাম্প পর্যন্ত এবং চ্যাংখালী সড়কের উপজেলা পরিষদের গেট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথের যায়গা অবৈধভাবে দখল করে নেয় এলাকার প্রভাবশালীরা। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি হীনস্বার্থে সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে ১০০ স্কয়ার ফুট জমি ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকায় পজিশন বিক্রি করেছে। যারা পজিশন কিনে ওই জমিতে দোকান ঘর করেছিলেন তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ভাড়া হিসেবে ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করতেন অসাধু ওই জনপ্রতিনিধিরা। অভিযোগসহ এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে জীবননগর ডাকবাংলার (পুরাতন বিজিবি ক্যাম্প) ভেতর একই জমি ৩ থেকে ৪ বার বিক্রি করা হয়েছে। দখলদার জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে যে ব্যক্তি প্রথমে ওই জমির পজিশন কিনেছিলেন তার টাকা ফেরত না দিয়েই ওই জমির পজিশন আরেক যায়গায় বিক্রি করেছে দখলদাররা। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গরিব অসহায় দোকানদাররা মুখ খুলতে সাহস পাননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪-৫ জন দোকানি বলেছেন, পজিশন কেনার টাকা ফেরত পেতে এবার তারা সংবাদ সম্মেলনসহ আদালতের দারস্ত হবেন।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ