স্টাফ রিপোর্টার: টাকা চুরির মামলার একমাত্র আসামি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সেই স্বাস্থ্যকর্মী রাসেলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরামের দায়েরকৃত চুরি মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় চুরি হওয়া এক লাখ টাকার মধ্যে নগদ ৮৬ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। রাসেল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত। গত ১ এপ্রিল সদর হাসপাতালে কোয়ার্টারের আলমারি থেকে আরএমও’র ব্যক্তিগত এক লাখ টাকা চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মী রাসেলকে সন্দেহজনক মনে হয় আরএমও’র। গত সোমবার দুপুরে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশের কাছে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার নিকট থেকে পুলিশ ৮৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। রাতে আরএমও নিজেই বাদি হয়ে রাসেলকে আসামি করে সদর থানায় একটি চুরি মামলা করেন। পরে ওই মামলায় রাসেলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই হাদীউজ্জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের হয়েছে। চুরি হওয়া ৮৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি। গতকাল বিজ্ঞ আদালতের সোপর্দ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি সদর হাসপাতাল চত্বরে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী আহসান আলমকে বেধড়ক পিটিয়ে আলোচনায় আসে এই স্বাস্থ্যকর্মী রাসেল। এ ঘটনার পর সাংবাদিক আহসান আলম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলাও করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হলে এর কিছুদিন পর জামিন মুক্তি পায়।