আনোয়ার হোসেন: পাটচাষে গতবার লাভ হওয়ায় এবার চুয়াডাঙ্গার চাষিরা ওই আবাদের ঝুকেছেন। গতবারের তুলনায় এবার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। মাঠে পাটের ক্ষেত দেখে কৃষকদের অনেকেরই অভিমত, ফলন ভালোই হবে। প্রত্যাশিত দাম পেলে পাটচাষিদের মুখে ফুটবে তৃপ্তির হাসি।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত বছর ১৬ হাজিার ৭শ ৩০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ করা হয়। সে হিসেবে এবারও ওরকমই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। না, ওই লক্ষ্যমাত্রা থাকেনি। তা অতিক্রম করে এবার জেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে ২০ হাজার ৫শ ২৭ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরায় ১ হাজার ৫০, দামুড়হুদায় ১০ হাজার ৫শ ৩৫, জীবননগরে ১ হাজার ৬শ ৯৭ ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৭ হাজার ২শ ৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র। গত বছর চুয়াডাঙ্গায় পাট উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো ৬৪ হাজার ৪শ ১০ মেট্রিক টন। ফলন ও দাম দুটিই গতবার ভালো পেয়েছিলেন পাটচাষিরা। লাভ হওয়ার কারণেই এবার জেলায় পাটের আবাদ বেড়েচে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের উপপরিচালক মোদ আলী হাসান এসব তথ্য দিয়ে বলেন, এবার বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রত্যাশিত হলে ফলন বাড়বে। পাট আঁশের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা হাজরাহাটি এলাকার কয়েকজন চাষির মধ্যে হাবিব জোয়ার্দ্দার, মামীম বিশ্বাস, মজি জোয়ার্দ্দারসহ অনেকেই অভিন্ন ভাষায় বললেন, গতবারের মতো বাজার থাকলে পাট ও পাটকাঠি বিক্রি করে লাভ ভালোই হবে। গতবছরে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ পাট বিক্রি হয়েছে, পাটকাঠিও বিক্রি হয়েছে ভালো দামে। এবারও আমরা ওরকম দাম পেলেও খুশি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ