স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কুলচারায় শিকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বস্তায় লুকানো ৩৫টি হীরামন টিয়া উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পালিয়ে যায় শিকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া। বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘পানকৌড়ি’র সভাপতি বখতিয়ার হামিদ বিপুল জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ‘পানকৌড়ি’র দুইজন সদস্য জানতে পারি পাখি শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে শিকারীরা। ওই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কুলচারার মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকি। এ সময় দিগড়ী গ্রামের হযরত, আলা, শাজাহান ও ডোমচারার শরিফুলকে বস্তার মধ্যে করে পাখি ধরে নিয়ে যেতে দেখি। তাদের পিছু নিলে বস্তাগুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে বস্তার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ টি হীরামন টিয়া ও পাখি শিকারের সরঞ্জাম। পাখিগুলো বস্তা থেকে বের করে খাঁচায় রাখা হয়। অবমুক্ত করতে নেয়া হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া জানান,পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। সকালে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় বস্তা ও পাখি শিকারের সরঞ্জাম। পাখি শিকারের সাথে জড়িতদের তলব করা হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, হীরামন টিয়ার বসবাস ভারতে হলেও এই প্রজাতির উল্লেখযোগ্য পাখি আগস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসে। মূলত খাবারের সন্ধানেই এরা বাংলাদেশে আসে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতার পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতিবাদ সমাবেশ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ