স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আসানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিনের আচরণে ক্ষুব্ধ সহকারী শিক্ষকেরা। অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের অনেকেই এ অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছেন, সিøপের টাকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
অভিযোগকারীরা বলেছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ স্থানীয় কিছু সুধী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট কারণ জানতে চাইলে তিনি তা পাত্তাই দেননি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিও অনেকটা উদাসীন। ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক তার ছেলের জন্য প্রত্যয়নপত্র নিতে গেলে প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন তাকে অন্য স্থান থেকে প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে আনতে বলেন। এই অভিভাবক প্রশ্ন তুলে বলেন আমরা যদি অন্য স্থান থেকে প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে আনবো তাহলে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে লাভ কী? এ সময় প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন তার সাথে অসৌজন্যমূলক আপত্তিকর ব্যবহার করেন। আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক মাহমুদা খাতুন। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে আপত্তিকর উক্তি আওড়ান। এছাড়াও বিদ্যালয়ের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের সাথে তিনি প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সরকার কর্তৃক ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানো নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বেড়ান তিনি। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ