গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার গবরগাড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গত মঙ্গলবার তিতুদহের মকলেছ আলি নামের একজনকে ঘরে আটকে রেখে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে জরিমানা করা হয় ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু ওই টাকা এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। স্থানীয়রা ওই টাকা গবরগাড়ার ফারুক হোসেন মেম্বারের কাছে রয়েছে বলে জানালেও মেম্বার তা অস্বীকার করেছেন। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের মাঠপাড়ার আশাদুলের স্ত্রীর অনৈতিক কাজের উদ্দেশে ঘরে ঢুকে প¦ার্শবর্তী তিতুদহ গ্রামের মঙ্গল হোসেনের ছেলে মকলেছ আলি। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করে। পরে কৌশলে তাকে ঘরে আটকে রেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন এসে উভয়পক্ষ সালিসে বসে অভিযুক্তকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই ঘটনার পরে ভুক্তভোগী নারী টাকা পাইনি বলে এই প্রতিবেদকের কাছে ঘটানাটি জানায়। ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত মকলেছ আলি বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে বিশ্বাস করেনি। পরে ঘটনার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমার ঘরে ঢুকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি জোরপূর্বক তার কাছথেকে দৌড় দিয়ে ঘরের ছিটকানি দিয়ে চিৎকার করলে লোকজন এসে তাকে বেঁধে রাখে। পরে দুপক্ষের সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সালিসে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই টাকা দেয়ার কথা ছিলো স্থানীয় ইউপি সদস্য গবরগাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন মেম্বারের। কিন্তু সে ৬ দিন পার হলেও এখনো টাকা দেয়নি। স্থানীয়রা জানান, টাকা যেহেতু ফারুক মেম্বারের দেয়ার কথা ছিলো সেহেতু তার দেয়া উচিত ছিলো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সালিসের নামে পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেয়নি। সালিসের টাকা কার পকেটে এটিই প্রশ্ন? এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, তিতুদহের হাসিবুল ইসলাম নামের একজন আমাকে জামিনদার করেছিলো। কিন্তু সে এখন টাকা পয়সা দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করছে। আমি হাতে পাইনি, পেলে দিয়ে দিতাম।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ