কৃষকদের অবদানকে সম্মান জানালো ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ
কৃষক দিবসে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামে
স্টাফ রিপোর্টার: কৃষক দিবসে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে চুয়াডাঙ্গার মনিরামপুর গ্রামে কৃষকদের অবদানকে সম্মান জানালো ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ। রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের মনিরামপুর বিশ্বাসপাড়ায় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজের সভাপতিত্বে ও কৃষি বায়োস্কোপের পরিচালক কৃষিবিদ তালহা জুবাইর মাসরুরের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী এ কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা অনুষ্ঠান, আধুনিক কৃষি উপকরণ প্রদর্শনীর জন্য স্টল, কৃষকদের জন্য নানারকম খেলার ব্যবস্থা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে গ্রামের রাস্তা ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাড়াবাড়ীয়া সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন সংঘের কৃষক আব্দুল কাদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা ও জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ, কৃষি বায়োস্কোপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে অ্যালায়েন্স ফর সাইন্সের ফেলোগণ। আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বনির্ভরতা বৃদ্ধিতে কৃষকদের অবদানকে সম্মাননা ও স্বীকৃতি জানানো। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট কৃষি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী ও কৃষকগণ। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতের মূল চালিকাশক্তি হল এদেশের কৃষক। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার। তাদের কঠোর শ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলস্বরূপ পুষ্টিকর খাবার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। কৃষক দিবস উদযাপন কৃষকদের অমূল্য অবদানকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মুঈদ বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরাই টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বড় ভূমিকা পালন করেন। তাদের স্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে আমরা তাদের কাজকে সম্মান জানাচ্ছি এবং কৃষিখাতের উন্নয়নে তাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বারোমাসী ফল উৎপাদন ও পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদি মাসুদ বলেন, কৃষি ও পুষ্টি সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের অবদান অপরিসীম। বারোমাসী ফল উৎপাদনে এবং পুষ্টি চাহিদা মেটাতে চাষিরা বদ্ধপরিকর। অনুষ্ঠানে ১০ জন কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট, সবজী বীজ, সনদ ও অন্যান্য উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।