কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধী ও অসহায় শিক্ষার্থীর টাকা আত্মসাৎ

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাইট বাড়িয়া হক্কুল হুদা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ এমরানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি প্রণোদনার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সুবিধাবঞ্চিত ১৫ শিক্ষার্থীদের নিয়মানুযায়ী ৫ হাজার টাকা জনপ্রতি প্রদান করেছেন মর্মে কাগজে স্বাক্ষর করে নিলেও বাস্তবে প্রতিজন শিক্ষার্থীকে মাত্র ২ হাজার ৫শত করে টাকা দিয়েছেন।
সরজমিনে জানা গেছে, পারফমেন্স বেজড গ্রাউন্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিউশন (পিবিজিএসআই) এ মাদরাসাটিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার ও অসহায় সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয় এই স্কিমের আওতায় প্রতিষ্ঠানটিতে বই কেনার জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সেই টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। অফিসে ভুয়া বিল ভাউচার করে জমা দেয়া ৪৫ হাজার টাকায় কেনা বইয়ের তালিকা কাগজে কলমে থাকলেও লাইব্রেরিতে বই তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন।
এই মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসানা খাতুন ও মাহিয়া খাতুন জানান, মাদরাসা থেকে তাদের ১৫ জনকে ২৫শ করে টাকা দিয়ে জোরপূর্বক ৫ হাজার টাকা পেয়েছি মর্মে তালিকায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। প্রতিবন্ধী কাউকে কোন টাকা দিয়েছে কিনা তা তারা জানেন না। প্রতিবন্ধীর তালিকায় নাম থাকা তিশা খাতুনের বাবা ফারুক হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী নয়। তাছাড়া মাদরাসা থেকে তো আমার মেয়েকে কোনো টাকা দেয়া হয়নি। আমার মেয়েকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে মাদরাসা থেকে তার নামে আসা টাকা আত্মসাৎ করছেন শিক্ষকরা, এটা খুব দুঃখজনক। আমার মেয়ের নামে বরাদ্দকৃত টাকা আমি ফেরত চাই।
সাইট বাড়ীয়া হক্কুল হুদা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ইমরানুর রহমানের নিকট শিক্ষার্থীদের অর্থ ও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বইয়ের টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি যে এ ব্যাপারে তদন্ত করতে এসেছেন এ মর্মে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো চিঠি আছে কি? সরকারি প্রণোদনার অর্থ সব ঠিকঠাক ভাবেই দেয়া হয়েছে এবং খরচ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, এই প্রণোদনার আওতায় যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন প্রত্যেককেই পরিপত্র নিয়মানুযায়ী ব্যয়ের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অনিয়ম যদি কোনো প্রতিষ্ঠান করে থাকে তার দ্বায়ভার ওই প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More