আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবো
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার মধ্যবর্তী স্থান মন্সিগঞ্জে নির্বাচনি জনসভা করে জনতার উপস্থিতি দেখিয়ে দিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনিস্টার ও মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। উপস্থিত নেতাকর্মী ও ভোটাররা সেøাগানে মুখরিত করে রাখে পুরো জনসভাস্থল। এ সময় রাজ্জাক খান তার বক্তৃতায় নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাবাসীর আয়োজনে মুন্সিগঞ্জ একাডেমি ফুটবল মাঠে এ বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকেই মুন্সিগঞ্জ একাডেমি ফুটবল মাঠ নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। তিলধারণের ঠাঁই ছিলো না বিশাল জনসমাবেশ স্থলে। আবার অনেকেই সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে এম.এ রাজ্জাক খানের বক্তব্য শোনেন। তিনি নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন আলমডাঙ্গাবাসীর জন্য। এ সময় ফ্রিজ মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে একসঙ্গে থেকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন ভোটাররা। রাজ্জাক খান তার নির্বাচনি ইশতেহার স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা, মেডিকেল কলেজ, কৃষির আধুনিকায়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলাবাসীর পাশে থাকবো সবসময়। এ এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাবো। জনসমাবেশে রাজ্জাক খানের সহধর্মিণী দিলরুবা উপস্থিত থেকে সারা জীবন ভোটারদের পাশে থাকার ও ফ্রিজ প্রতীকে ভোট চান।’ প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে মানবিক এই জননেতা চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। ফ্রিজ প্রতীক এখন এই আসনটির ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। সাধারণ ভোটারদের মতে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ফ্রিজ প্রতীক নিয়ে আলোচনাও ততোই বাড়ছে। প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে রাজ্জাক খানের কর্মী-সমর্থকেরা নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন মুন্সিগঞ্জের ফুটবল মাঠে। স্মরণকালের সবথেকে বড় এই জনসভা যেন রুপ নেয় এক বিশাল জনসমুদ্রে। জনসভা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ দলে দলে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেন। বিকেল হতেই হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। সমাবেশস্থলে জায়গা না পেয়ে হাজারো নেতাকর্মী রাস্তা, স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে ওয়াদা করেছেন এবারের নির্বাচনে তিনি জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথার সম্মান রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সবাই নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিজের ভোট নিজে দেবেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের জন্য কাজ করছি। আশা করি আপনারা আর একবার আমাকে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দেবেন। যাতে আগের মতোই আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই। আমি বিজয়ী হলে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা একটি আধুনিক, গণমুখী ও সেবাবান্ধব এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো। আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবো। আমার রাজনীতির লক্ষ্য মানুষের সেবা করা। আমি আপনাদের সেবক হতে চাই। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপনাদের কাছে আর একটিবার ফ্রিজ প্রতীকে ভোট চাইতে এসেছি। আমি আশা করি, আপনারা আমার পাশে থেকে এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন। সাধারণ ভোটারদের তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশবাসী ও সবার কাছে ওয়াদা করেছেন, এবারের ভোট হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। তিনি সব নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন ভোটারের কাছে যাওয়ার জন্য, ভোট চাওয়ার জন্য। আপনারা কারও ভয়ে আতঙ্কিত হবেন না। কোনো অপশক্তিকে ভয় পাবেন না। অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন এবারের ভোট অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। আপনাদের ভোটেই জয়-পরাজয় নির্ধারণ হবে প্রার্থীর ভাগ্য। তাই জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনে ফ্রিজ প্রতীককে বিজয়ী করতে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো বহুদূর। উন্নত চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা গড়ি। সবাইকে একসঙ্গে সংগঠিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই অঞ্চলে এখনো অনেক উন্নয়ন কর্মকা- রয়েছে যা করা হয়ে ওঠেনি। আগামী দিনে এসব উন্নয়ন কাজ করতে হবে আমাদের। তাই আসুন উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ শুরু করি। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা মুন্সিগঞ্জ একাডেমি ফুটবল মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন, এবারের নির্বাচন শেখ হাসিনাকে জয় করার নির্বাচন। চুয়াডাঙ্গার সামগ্রিক উন্নয়নে একজন যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচন করা আপনাদের নৈতিক অধিকার। সেই কারণে আপনারা অবশ্যই একটি যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচনে মনোনিবেশ করবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উংসবমুখর পরিবেশে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সেই ক্ষেত্রে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভুল করবেন না। আপনাদের প্রতি বিনয়ের সাথে বলছি আমি আপনাদের সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। সেবার মহিমা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলবো, আপনাদের দাবি এবং অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আরও বলতে চাই আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে আগামীর রাজনীতিতে পরিবর্তন চাই। জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে থাকতে চাই। আমাকে দোয়া করবেন এবং ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ফুটবল একাডেমি মাঠে স্মরণকালের সব রেকর্ড ভেঙে বিশাল নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ এম.এ রাজ্জাক খান সিআইপি। আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, এম.এ রাজ্জাক খানের সহধর্মিণী দিলরুবা তনু, পুত্র আল-আকসা তানজিম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সদস্য শরিফ হোসেন দুদু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন জ্যাকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, ছাত্রলীগ নেতা সজল আহমেদ, মুফতি আব্দুল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিফাত, সাধারণ সম্পাদক টুটুল, নাজমুল, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান, রবজেল আলী, ফয়ছাল, বাদশা, টুটুল, উজ্জল বিশ্বাস, মিলন, ফারুখ, সোহেল, সাজ্জাত, শুকুর আলী, জীবন আহমেদ শামীম, ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর, আরিফ, রাব্বী, জিহাদ, শেখ গোলাম মস্তফা শওকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.